Thursday, April 06, 2023

Mapping Geomorphological Data

কোন বস্তু বা ব্যক্তি সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণ যা সংখ্যা কথায় প্রকাশ করা থাকে তাকে উপাত্ত (data) বলে। ভূগোলে ভৌগলিক দেশের উপর অবস্থিত বিভিন্ন বিষয়ের পর্যবেক্ষণ সেগুলিকে ভৌগলিক তথ্য বলে। ভৌগলিক তথ্য অবস্থানগত হতে পারে বা কোন ভৌগলিক উপাদান এর বৈশিষ্ট্য বিষয়ক হতে পারে। সব ধরনের ভৌগলিক তথ্যকেই নানা ভাবে উপস্থাপন করা হয় সেটা আমরা আগের ভিডিওতে দেখেছি। 

তবে যেহেতু বিভিন্ন প্রকার ভৌগোলিক তথ্যকে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তাই তথ্যের প্রকৃতি অনুযায়ী উপস্থাপন পদ্ধতি ও বদলে যায়।

এখানে আমরা দেখব ভূমিরূপ বিষয়ক তথ্য সমূহ কে কি কিভাবে উপস্থাপন করা যায়।

Geomorphological mapping (mapping the terrain)

ভূমিরূপ বিদ্যা হলো ভূপৃষ্ঠের আকৃতি সংক্রান্ত বিজ্ঞান যেখানে পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ এর বিশ্লেষণ করা হয় বিজ্ঞানসম্মত উপায় এ। প্রায়শই এই সব ভূমিরূপের আকৃতি সংক্রান্ত নানা বিষয়কে মানচিত্রে উপস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। বিষয়ের প্রকৃতি, তথ্যের প্রকার, উপস্থাপনের উদ্দেশ্য এবং ভিত্তি মানচিত্রের স্কেল এর উপর নির্ভর করে উপস্থাপন পদ্ধতি। ভূমিরূপ গত বিষয়সমূহকে তাই নানা ভাবে উপস্থাপন করা হয়। 

তাহলে এবার দেখে নেয়া যাক কোন কোন বিষয় কি কি ভাবে উপস্থাপন করা হয়। 

A. Depiction of relief

ভূপৃষ্ঠের ভূমিরূপের উপস্থাপন অনেক দিন ধরে চলে আসছে। এক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূপৃষ্ঠকে দ্বিমাত্রিক উপস্থাপন করা হয় এবং তৃতীয় মাত্রা অর্থাৎ উচ্চতাকে নানারকম প্রতীক চিহ্ন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যেমন,

  1. Spot height: বিন্দু উচ্চতা হল ভূ-পৃষ্ঠের ওপরে অবস্থিত কোন নির্দিষ্ট বিন্দু র প্রকৃত উচ্চতা যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পরিমাপ করা হয় এবং মানচিত্রে বিন্দু র পাশে সংখ্যা দিয়ে লেখা থাকে। বিন্দু উচ্চতা সাধারণত তিন ভাবে প্রকাশিত হয়: বিন্দু দিয়ে, ত্রিকোণমিতিও স্টেশন, এবং বেঞ্চ মার্ক দিয়ে। 

সুবিধা ও অসুবিধা: বিন্দু উচ্চতা পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত কোন স্থান এর সঠিক উচ্চতা প্রকাশিত হয়। 

কিন্তু এর প্রধান অসুবিধা হলো, বিন্দু উচ্চতা ভূপৃষ্ঠের ভূমিরূপের প্রকৃতি কে উপস্থাপন করতে পারেনা।

  1. Contour line: ভূপৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত উচ্চতা যুক্ত বিন্দুগুলি কে কাল্পনিক রেখা দিয়ে যোগ করলে সমোন্নতি রেখা বা contour line পাওয়া যায়। একে isohypses ও বলে। 

সমোন্নতি প্রতিটি সুনির্দিষ্ট মান যুক্ত এবং কোন একটি অঞ্চলের একাধিক উচ্চমানের একাধিক সমোন্নতি রেখা অঙ্কন করা হয় সুনির্দিষ্ট ব্যবধানে। 

সমোন্নতি রেখার ব্যবধান কত হবে সেটা নির্ভর করে ভূমিরূপের উচ্চতার পার্থক্যের ওপর এবং মানচিত্রের স্কেল এর উপর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলকে মানচিত্রে দেখানোর জন্য একি উচ্চতা ব্যবধান গ্রহণ করা হয়। 

     

সমোন্নতি রেখার পারস্পরিক দূরত্ব ঢালের প্রকৃতি ও পরিমাণ নির্ণয় করে। সমোন্নতি রেখা গুলি কাছাকাছি থাকলে ঢাল খাড়া হয়।

সমোন্নতি রেখা গুলো একে অপরকে ছেদ করে না এবং তাদের পারস্পরিক বিন্যাস ভূমিরূপের ঢাল কে প্রকাশ করে। তাই সমোন্নতি রেখা সমগ্র ভূ-পৃষ্ঠের ভূমিরূপের প্রকৃতিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে।

সমোন্নতি রেখা অঙ্কনের জন্য প্রথমে প্রয়োজন পড়ে বিন্দু উচ্চতার। কিছু সমোন্নতি রেখা পরিমাপকৃত বিন্দু উচ্চতা দিয়ে অঙ্কন করা হয়। বাকিগুলি ইন্টারপোলেশন এর মাধ্যমে আঁকা হয়। 

মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ সমোন্নতি রেখা গুলিকে মোটা করে দেখানো থাকে। 

যেখানে ভূমির ঢাল খাড়া ও একাধিক সমোন্নতি রেখা পরস্পরের ওপর এসে পড়ে তখন সেখানে ছায়াপাত দিয়ে খাড়া ঢাল বা ভৃগু কে বোঝানো হয়। 


সুবিধা ও অসুবিধা: সমোন্নতি রেখা দ্বারা ভূপৃষ্ঠের ভূমিরূপকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে প্রধান সুবিধা হল এটি ভূপৃষ্ঠের ভূমিরূপের প্রকৃতিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে। সমোন্নতি রেখার বিন্যাস থেকে আমরা সহজেই উঁচু জায়গা, নিচু জায়গা, মৃদু ঢাল, খাড়া ঢাল, উত্তল ঢাল, অবতল ঢাল, শৈলশিরা, পাহাড় ইত্যাদি সহ ভূপৃষ্ঠের বন্ধুরতা, উপত্যকা ইত্যাদি বুঝতে পারি।

সমোন্নতি রেখা কে খুব সহজেই ত্রিমাত্রিক চিত্রে রূপান্তরিত করে ভূপৃষ্ঠের প্রকৃত রূপ ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।

কখনো কখনো সমোন্নতি রেখা মধ্যবর্তী অঞ্চলকে রঙ দিয়ে বা শেডিং করে ভূমিরূপ অঞ্চল কে আরো ভালো ভাবে বোঝানো যায়। 


তবে সমোন্নতি রেখার সাহায্যে ভূমিরূপকে প্রদর্শন করার অনেকগুলো অসুবিধাও রয়েছে। যেমন অনেক বড় এলাকার ক্ষেত্রে এটি অংকন করার প্রক্রিয়া বেশ জটিল কারণ অসংখ্য বিন্দু উচ্চতা থাকে। যদিও বর্তমানে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অসুবিধা দূর করা সম্ভব হয়েছে।

যেহেতু সমোন্নতি রেখা নির্দিষ্ট ব্যবধানে আঁকা হয় তাই সমোন্নতি রেখার ব্যবধান এর থেকে কম ভূমির উচ্চতার পার্থক্য কে দেখানো সম্ভব হয় না। 

পৃথিবীর প্রতিটি বিন্দুর উচ্চতা পরিমাপ করা সম্ভব নয়। কিছু বিন্দুর উচ্চতা নির্ণয় করে বাকি গুলির উচ্চতা ইন্টারপোলেশন দ্বারা নির্ণয় করা হয় ও সেই অনুযায়ী সমোন্নতি রেখা আঁকা হয়। 

সমোন্নতি রেখার ব্যবধান কম বা বেশি করলে কন্টুর প্যাটার্ন বদলে যেতে পারে। 

সাধারণ সমোন্নতি রেখা ভূপৃষ্ঠের ত্রিমাত্রিক রূপকে প্রস্ফুটিত করে না। কারণ সমোন্নতি রেখা গুলিকে অর্থগ্রাফিক প্রজেকশন এ অঙ্কন করা হয়। 

  1. Tanaka kirito's Method of contouring: এটি একটি বিশেষ সমোন্নতি রেখা অঙ্কন পদ্ধতি যেখানে অর্থগ্রাফিক প্রজেকশনে অঙ্কিত সমোন্নতি রেখার উপর পর্যায়ক্রমিক  সরলরেখা সম দূরত্বে অঙ্কন করা হয়। সমোন্নতি রেখা ও সরল রেখার ছেদ বিন্দু দিয়ে নতুন তির্যক সমোন্নতি রেখা অঙ্কন করা হয় যা ভূপৃষ্ঠের ঢাল সমুহকে আরো ভালোভাবে দৃশ্যায়িত করে। 

   

  1. Layer shading or tinting: অপেক্ষাকৃত উঁচু বা নিচু এলাকাগুলোকে বোঝানোর জন্য সমোন্নতি রেখা মধ্যবর্তী অঞ্চল রং করা হয় বা ছায়াপাত দেওয়া হয়। সাধারণত একই রঙের বা ছয়াপাতের বিভিন্ন মাত্রা দেওয়া হয়।

 

ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য গুলোকে এর মাধ্যমে সহজেই প্রকাশ করা সম্ভব হয়।

  1. Hachures: এই পদ্ধতি তে সাধারণত অসংখ্য বিচ্ছিন্ন রেখা অঙ্কন করা হয় ভূমির ঢাল কে বোঝানোর জন্য। ঢালের নিচের দিকে লাইনগুলোকে টানা হয় এবং যেদিকে তীক্ষ্ণ ডাল থাকে সেদিকে টানা হয়। সাধারণভাবে খাড়া ঢাল লাইনগুলো কাছাকাছি টানা হয় এবং মৃদু ঢালে লাইনগুলো দূরে দূরে টানা হয়। 

সুবিধা ও অসুবিধা: এই পদ্ধতিতে ভূমিরূপকে সহজেই ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়, উঁচু স্থান, নিচু স্থান, খাড়া ঢাল, মৃদু ঢাল ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপকে চাক্ষুষ করা যায়। 

কিন্তু এর প্রধান অসুবিধা হলো এখানে কোন উচ্চতা লেখা থাকে না ফলে ভূমিরূপ এর প্রকৃত উচ্চতা গুলো জানা যায় না।

  1. Hill shading/ Plastic shading: সমোন্নতি রেখা ভূপৃষ্ঠ কে উপস্থাপন করতে পারলেও তা ভূপৃষ্ঠের ত্রিমাত্রিক রূপ কে ফুটিয়ে তুলতে পারে না। তাই সমোন্নতি রেখার মধ্যবর্তী অঞ্চল কে রং দিয়ে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা ও ঢাল এর পার্থক্য কে আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। এক্ষেত্রে খাড়া ঢাল যুক্ত অঞ্চল গুলিকে গাড়ো রং দেয়া হয়। রং এমনভাবে ব্যবহার করা হয় ঠিক যেন ভূপৃষ্ঠের উপরে উপর থেকে বা এক পাশ থেকে আলো ফেললে যেমনটা দেখতে লাগে। আলোকিত ও ছায়াময় অংশ যেমন ভাবে ভূপৃষ্ঠকে ত্রিমাত্রিক ভাবে ফুটিয়ে তোলে ঠিক সেই রকমই রং এর ব্যবহার করে সমোন্নতি রেখা মানচিত্র কে ফুটিয়ে তোলা হয়।

  2. Terrain type map: অনেক সময় ভূপৃষ্ঠের প্রধান প্রধান ভূমিরূপ গুলি কে প্রদর্শন করার প্রয়োজন পড়ে। কখন প্রধান প্রধান ভূমিরূপ অঞ্চল যেমন পর্বত, মালভূমি, সমভূমি ইত্যাদি অঞ্চল কে আলাদা আলাদা রঙ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। তুষারাবৃত অঞ্চল বা নদী উপত্যকা গুলিকে প্রয়োজনমতো আলাদা রঙ দেয়া হয়।

সাধারণত ক্ষুদ্র স্কেলের মান চিত্রে এটা করা হয়।

   


  1. Physiographic maps (pictorial relief/ Block diagram): এটি প্রকৃতপক্ষে ভূপৃষ্ঠের ভূ-প্রকৃতির ত্রিমাত্রিক রূপে অংকন। মূলত আমেরিকান ভৌগোলিক দের হাত ধরে এই পদ্ধতির বিকাশ ঘটে যেখানে বিভিন্ন প্রকার চিহ্ন ও ছায়াপাত ব্যবহার করে ত্রিমাত্রিক ভূ-প্রাকৃতিক ম্যাপ বা ব্লক ডায়াগ্রাম আঁকা হয়। 

এগুলি সরাসরি চোখে দেখে অঙ্কন করা হয় আবার, সমোন্নতি রেখার সাহায্যে নিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে অংকন করা হয়। যেভাবেই অংকন করা হোক না কেন এগুলি তীর্যক পার্সপেক্টিভ প্রদান করে। তবে দৃশ্য বিন্দুর অবস্থান বিভিন্ন হতে পারে। 

অংকন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে এটি isometric- যেখানে সুস্পষ্ট জ্যামিতিক চিত্র (গোলক, শঙ্কু, পিরামিড, চোং ইত্যাদি) দ্বারা ভূপৃষ্ঠের ত্রিমাত্রিক রূপ দেয়া হয় এবং এক্ষেত্রে উভয় দিকে অর্থাৎ অনুভূমিক ও উলম্ব দিকে একই স্কেল ব্যবহার করা হয়। Perspective- এক্ষেত্রে উল্লম্ব ও অনুভূমিক স্কেল সাধারণত এক থাকেনা। সাধারণত কোন ভূপ্রকৃতিকে আমরা যেভাবে দেখি ঠিক সেই রকমভাবে এই ব্লক ডায়াগ্রাম আঁকা হয়। যার ফলে কাছের জিনিস বড় এবং দূরের জিনিস ক্রমশ ছোট দেখায়। Panoramic- এ ধরনের ব্লক ডায়াগ্রাম সাধারণত লম্বাটে হয়, অনেকটা প্রস্থচ্ছেদ এর মত, বিশেষত্ব ভূতাত্ত্বিক গঠনের ওপর ভূমিরূপকে দেখানো হয় ত্রিমাত্রিক রূপে যা ভূতাত্ত্বিক গঠন এর সঙ্গে ভূমিরূপের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে প্রস্ফুটিত করে। 

এই পদ্ধতিতে ছোট এলাকার ভূমিরূপ গত বৈচিত্র্যকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হলেও বড় এলাকার ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না। 

B. Morphometric Analysis: ভূমিরূপের আকৃতির পরিমাণগত বিশ্লেষণ ভূমিরূপ বিদ্যার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা ভূমিরূপ এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের (relief, slope, linear aspects of drainage basin, areal aspects of basin) পরিমাপ করে ও তাকে বিশ্লেষণ করে মানচিত্র করে। এগুলিকে morphometric analysis বলে। 

  1. Profiles: ভূমিরূপের বাহ্যিক আকৃতি কেমন অর্থাৎ কোথায় উঁচু বা কোথায় নিচু, কোথায় ডাল কম বা কোথায় ঢাল বেশি, ঢালের বিচ্যুতি কেমন, উপত্যকার আকৃতি ইত্যাদি বুঝতে কোন একটি রেখা বরাবর ভূমিরূপকে প্রস্থচ্ছেদ করে আঁকা হয় যা প্রোফাইল নামে পরিচিত। এই প্রোফাইল ভূমিরূপের আকৃতিকে কোন রেখা বরাবর কেমন হবে সেটা কে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলে। 

নানা ধরনের প্রোফাইল আঁকা হয় ভূমিরূপকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে। যেমন,

  1. Serial profile: এক্ষেত্রে পরপর নির্দিষ্ট ব্যবধানে কতগুলি প্রোফাইল আঁকা হয়। এই প্রোফাইল গুলো তাই ভূমিরূপের পরিবর্তন বোঝাতে সাহায্য করে। এই প্রোফাইল গুলো কে কাজে লাগিয়ে আরও একাধিক প্রোফাইল আঁকা হয় ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য। যেমন, superimposed profile- এখানে একটি ফ্রেমের উপর সবগুলো প্রোফাইলকে উপর্যুপরি আঁকা হয় যার ফলে ভিন্ন ভিন্ন রং বা রেখা চিহ্নের ব্যবহার করতে হয়। এই ধরনের প্রোফাইল থেকে সেই অঞ্চলের গড় উচ্চতা তল বোঝা যায় যা সমতল পৃষ্ঠ কে (planation surfaces) খুব সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। Projected profile- এক্ষেত্রে সিরিয়াল প্রোফাইল গুলিকে উচ্চতা অনুযায়ী পরপর (কম উচ্চতা থেকে বেশি উচ্চতা যুক্ত) এমন ভাবে আঁকা হয় একই ফ্রেমের মধ্যে, যাতে করে যেন সেই স্থানের ভূমিরূপের একটি পার্সপেক্টিভ দৃশ্য উঠে আসে। ব্যাপারটা যেন এরকম, আমরা কোন সমভূমি অঞ্চল থেকে দূরের পাহাড় গোষ্ঠীকে দেখছি যেখানে একটার পর একটা শৈলশিরা পেছন থেকে উঁকি মারছে। Composite profile- এটিও এক ধরনের যৌগিক প্রোফাইল যেখানে সবগুলো প্রোফাইলকে তাদের শুধুমাত্র সর্বোচ্চ অংশগুলিকে যোগ করে অংকন করা হয় যাতে করে সেই অঞ্চলের সর্বোচ্চ অংশগুলি কোন উচ্চতা তল বরাবর (summit level) অবস্থিত সেটা বোঝা যায়। 

  1. River profile- ভূমিরূপের পর্যায়ক্রমিক প্রোফাইল অংকন করা ছাড়াও নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর অর্থাৎ উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত প্রোফাইল অংকন করা হয় যা নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর প্রস্থচ্ছেদ (লং প্রোফাইল) বলে এবং নদীর বিভিন্ন স্থানে আড়াআড়ি ও প্রোফাইল আকা হয়। 

এই ধরনের লম্ব পার্শ্বচিত্র থেকে নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত গতিপথের ভূমিরূপ গত পরিবর্তন, অর্থাৎ ঢালের বিচ্যুতি, জলপ্রপাতের অবস্থান, নিক বিন্দুর অবস্থান তথা নদীর পর্যায়িত স্তর বোঝা যায়। 

আবার নদীর আড়াআড়ি পার্শ্বচিত্র থেকে নদীর বিভিন্ন অংশে এবং বিভিন্ন প্রবাহে নদী উপত্যকার আকৃতি বোঝা যায়। অর্থাৎ V আকৃতির, I আকৃতির, U আকৃতির উপত্যকা চিহ্নিত করা যায়। 

     2. Slope and Gradient analysis: ভূমিরূপের ঢাল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা যেকোনো ভূমিরূপ এর বৈশিষ্ট্য কে সূচিত করে। তাই ভূমিরূপ এর ঢাল এর পরিমাপ ও বিশ্লেষণ এবং ঢালের আঞ্চলিক পার্থক্য এর মানচিত্র করণ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ভৌগোলিক ভূমির ঢাল এর পরিমাপ বিশ্লেষণ ও তাদের মানচিত্র করণ করেছেন। 

  1. Average slope- Wentworth একটি বিশেষ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন যা ভূপৃষ্ঠের কোন একটি ছোট জায়গার গড় ডালের পরিমাণ কে পরিমাপ করতে পারে। এভাবে কোন একটি অঞ্চলের উপর অনেকগুলি গড় ঢালের মান পাওয়া যায় যা দিয়ে সহজেই Isopleth পদ্ধতিতে মানচিত্র করণ করা যায়। 

সাধারণত মানচিত্রের উপরে অনেকগুলি সুবিধামত গ্রিড অংকন করা হয়, তারপরে সেই প্রতিটি গ্রিডের গড় ঢালের মান নির্ণয় করা হয়। 

যদিও এই পদ্ধতিতে ঢালের মান জানা গেলেও ঢালের অভিমুখ বা দিক জানা যায়না।

  1. Raisz and Henry's Slope analysis

  2. Robinson's Slope Analysis:

  3. Strahler's Slope Analysis: 

3. Relative relief: (Smith): সাধারণত মানচিত্রের উপরে অনেকগুলি সুবিধামত গ্রিড অংকন করা হয়, তারপরে সেই প্রতিটি গ্রিডের সর্বোচ্চ উচ্চতা ও সর্বনিম্ন উচ্চতার অনুপাত নির্ণয় করা হয়। আপেক্ষিক উচ্চতা ভূমির বন্ধুরতা প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক হিসেবে দেখা হয়। 

4. Dissection Index (Dov Nir): সাধারণত মানচিত্রের উপরে অনেকগুলি সুবিধামত গ্রিড অংকন করা হয়, তারপরে সেই প্রতিটি গ্রিডের আপেক্ষিক উচ্চতা ও সর্বোচ্চ উচ্চতার অনুপাত নির্ণয় করা হয়। এক্ষেত্রে মান শূন্য থেকে এক এর মধ্যে থাকে ।

5. Ruggedness Number: সাধারণত মানচিত্রের উপরে অনেকগুলি সুবিধামত গ্রিড অংকন করা হয়, তারপরে সেই প্রতিটি গ্রিডের আপেক্ষিক উচ্চতা ও নদী ঘনত্বের গুণ ফল এর সঙ্গে ধ্রুবকের  (K) অনুপাত নির্ণয় করা হয়। আপেক্ষিক উচ্চতা ও নদী ঘনত্বের গুণফল হিসাবে এটিও ভূমির বন্ধুরতা  প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক । 

6. Drainage Density: সাধারণত মানচিত্রের উপরে অনেকগুলি সুবিধামত গ্রিড অংকন করা হয়, তারপরে সেই প্রতিটি গ্রিডের প্রতি বর্গ একক আয়তনে নদীর দৈর্ঘ্য হিসাব করে এটি নির্ণয় করা হয়। নদী ঘনত্ব ভূমিরূপ এর বিবর্তনের  পর্যায় জানতে সাহায্য করে । 


7. Drainage Frequency: সাধারণত মানচিত্রের উপরে অনেকগুলি সুবিধামত গ্রিড অংকন করা হয়, তারপরে সেই প্রতিটি গ্রিডের প্রতি বর্গ একক আয়তনে নদীর সংখ্যা হিসাব করে এটি নির্ণয় করা হয়। নদী সংখ্যা ভূমিরূপ এর বিবর্তনের  পর্যায় জানতে সাহায্য করে ।


মরফোমেট্রিক বিশ্লেষণ টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

Geological mapping

ভূমিরূপ বিদ্যার সঙ্গে ভূতত্ত্ববিদ্যা নিবিড় সম্পর্ক আছে। যেহেতু পৃথিবীর সব ভূমিরূপ কোন না কোন ভূতাত্ত্বিক গঠন এর উপর গড়ে ওঠে এবং ভূমিরূপ এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন উচ্চতা ঢাল ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে ভূতাত্ত্বিক গঠন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাই ভূমিরূপ বিদ্যার মধ্যেই বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক গঠন ও তার মানচিত্র করণ করা হয়। অনেক সময় ভূতাত্ত্বিক গঠন ও ভূমিরূপ একই মানচিত্রে অধ্যারোপিত করে অঙ্কন করা হয়। 

নানাভাবে ভূতাত্ত্বিক গঠন কে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়। যেমন, 

  1. Geological section: এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ভূতাত্ত্বিক পার্শ্বচিত্র যার শীর্ষ দেশ ভূমিরূপ কে নির্দেশ করে এবং তারমধ্যে ভূতাত্ত্বিক গঠন নির্দেশিত হয়। 

ভূমিরূপ এর সঙ্গে ভূতত্ত্বের সম্পর্ক বুঝতে সবথেকে সহজতম পদ্ধতি হলো এটি। 

ভূতাত্ত্বিক পার্শ্বচিত্র অঙ্কনের জন্য প্রথমে ভূতাত্ত্বিক মানচিত্রে একটি রেখা বরাবর (section line) সমোন্নতি রেখার মান গুলিকে নিয়ে প্রথমে ভূমিরূপ পার্শ্বচিত্র টি একে নেওয়া হয়। তারপর ওই রেখা বরাবর শিলাস্তর, তাদের নতি, পুরুত্ব, প্রকার ইত্যাদি অনুযায়ী প্রদর্শন করা হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। 

  1. Outcrop map: এক্ষেত্রে বিভিন্ন রং বা ছায়াপাত ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার ভূতাত্ত্বিক গঠনকে মানচিত্র উপস্থাপন করা হয়। 


Geomorphological map: Complex Thematic mapping

ভূমিরূপবিদ্যা বিষয়ক মানচিত্রকরণ বা জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপ প্রকৃতপক্ষে একটি বিশেষ ধরনের জটিল বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র (complex thematic map) যা ভূমিরূপের একাধিক বৈশিষ্ট্য ও ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য একইসঙ্গে উপস্থাপন করা হয় বিভিন্ন প্রকার রং ও প্রতীক চিহ্ন এর মাধ্যমে।

জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপ ভূমিরূপ সম্পর্কিত অন্যান্য মানচিত্রে থেকে একটু আলাদা। ভূমিরূপ সংক্রান্ত যত ধরনের মানচিত্র আছে, (আমরা প্রথমেই সেটা আলোচনা করেছি) ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র বা টপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ সহ, সব মানচিত্রতেই ভূমির সামগ্রিক প্রকৃতিকে ধরা যায় না অর্থাৎ comprehensive landform maps বলা যায় না। 

আমরা আগের আলোচনাতে ভূমিরূপ এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য কে মানচিত্রে উপস্থাপন করার জন্য বা চিত্রায়িত করার জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি বা মানচিত্রের কথা বলেছি সেগুলো সবই ভূমিরূপ এর আংশিক বৈশিষ্ট্য কে প্রকাশ করে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এ বা নগর পরিকল্পনায় বা অন্য যেকোনো ধরনের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, ভূমি সংরক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে ভূমিরূপের একটি সামগ্রিক মানচিত্র যেখানে ভূমির প্রকৃতি, ভূমিরূপের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, ভূপৃষ্ঠ ও ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ভূমির নিচের সঞ্চয়ের প্রকৃতি, ভূমিরূপ সৃষ্টিকারী প্রক্রিয়া সমূহ যার দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন সংঘটিত হয় ইত্যাদি, সমস্ত বিষয় যখন একটি মানচিত্রে বিভিন্ন রং এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এই ধরনের মানচিত্র কে বলা যায় জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপ।


Difference with topographic map


ভূবৈচিত্র সূচক মানচিত্রের (topographical map) সঙ্গে এই জিওলজিক্যাল মানচিত্রের পার্থক্য গুলি হল, 

ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র মানচিত্র পাঠ কারী কে পৃথিবীপৃষ্ঠের ভূমিরূপের কয়েকটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, ভূমিরূপ সৃষ্টি কারি প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারে না। যদিও অনেকে বলতে পারে যে এখানে তো নদী দেখানো থাকে, বিভিন্ন প্রতীক চিহ্ন এর মাধ্যমে নদীর সঞ্চয় কার্য যেমন পয়েন্ট বার, গালি বা নালি ক্ষয়, হিমবাহের উপস্থিতি, হিমরেখার উপস্থিতি, বালিয়াড়ির উপস্থিতি, শিলাময় পৃষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রতীক চিহ্ন এর মাধ্যমে দেখানো থাকে, তথাপি এটা বলা যায় যে ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র কোন অঞ্চলের ভূমিরূপ গত পটভূমি পুরোটা তুলে ধরতে পারেনা। যেমন, শিলার প্রকৃতি, শিলার গঠন, শিলার বৈশিষ্ট্য যেমন ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য কে তুলে ধরতে পারে না। তাছাড়া যেহেতু বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ সমোন্নতি রেখা সমন্বয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় তাই অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভূমিরূপ এর প্রকৃত বাউন্ডারি সীমারেখা টানা সম্ভব হয় না, বা অনেক ক্ষেত্রে ছোট ছোট ভূমির ঢাল এর পরিবর্তন ধরা পড়ে না। 


Use of geomorphological Map


সে দিক থেকে জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপ ইঞ্জিনিয়ার, নগর পরিকল্পক, বা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কারীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কারণ সেখানে কোন একটি স্থানের সামগ্রিক ভূমিরূপ গত বৈশিষ্ট্য, তার নিয়ন্ত্রক এবং পটভূমি উপস্থাপিত হয়। 

সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জিওমর্ফলজিক্যাল মানচিত্রের ব্যবহার হয়ে আসছে। 

"Thus it is well understood that geomorphological maps having enormous scope of incorporating various types of physical and cultural data can be exploited in a big way as a geomorphic tool for planning in various development projects of human society."

আগেই বলা হয়েছে জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপ মানবজাতির বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন পরিকল্পনা তে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

আঞ্চলিক পরিকল্পনা, নগর পরিকল্পনা, বহুমুখী নদী পরিকল্পনা, নদী অববাহিকার ব্যবস্থাপনা, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, খনিজ উত্তোলন ও সেই সংক্রান্ত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, অরণ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি সহ বিভিন্ন প্রকার ইঞ্জিনিয়ারিং কাজকর্ম যেমন রেল, রাস্তা, ব্রিজ, সুরঙ্গ, জলাধার নির্মাণ, উপকূল রেখার ব্যবস্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কাজে এই জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপের ব্যবহার সাফল্যের সঙ্গে হয়ে আসছে। 


Types of information incorporated in geomorphological maps


জিওলজিক্যাল মানচিত্রে প্রধানত তিন ধরনের তথ্যকে উপস্থাপন করা হয় একসঙ্গে। এগুলি হল,

  1. Mapping of surface form. (How are the surface forms map in geomorphological map?)

যেহেতু জিও মর্ফলজি ক্যাল মানচিত্রে বহু ধরনের প্রতীক চিহ্নের ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে তাই এই ধরনের মানচিত্রে ভূমিরূপ এর প্রকৃতি এবং তার প্রতিটি খুঁটিনাটি বৈশিষ্ট্য সহজে এবং সূক্ষ্ম ভাবে উপস্থাপন করা যায়। যেমন, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পাহাড়ী ঢালের কোনাকার (angular) বিচ্যুতি কে ইংরেজি V চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়। তবে এই V চিহ্নের প্রকৃতি অনুযায়ী বোঝা যায় যে ঢাল টি কেমন অর্থাৎ উতল, অবতল নাকি সরলরৈখিক। উল্লেখ্য এই ধরনের সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয় কিন্তু অন্য যেকোন মানচিত্র যেখানে সমোন্নতি রেখা দিয়ে ভূমিরূপ আঁকা হয় সেখানে দেখানো সম্ভব হয় না।

 আবার ঝালের তীক্ষ্ণতা কে প্রকাশ করার জন্য ঢালের নিচের দিকে তীর চিহ্ন দিয়ে তার পাশে ঢালের পরিমাণ লিখে দেওয়া হয় এবং উত্তর বা অবতল ঢাল অংশ হলে ভিন্ন ভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

গারো কালো রঙের চিহ্ন দিয়ে ভৃগু কে বোঝানো হয়।

ঢালের পরিমাণ বোঝাতে কখনো কখনো সমোন্নতি রেখার সঙ্গে ছায়াপাত ব্যবহার করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল জিও মর্ফলজি কাল ইউনিয়ন (I.G.U.) ঢালের পরিমাণকে সঠিক শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। এগুলি হল,

  1. 0° থেকে 2 ডিগ্রী,

  2. 2 ডিগ্রী থেকে 5 ডিগ্রী,

  3. 5 ডিগ্রী থেকে 15 ডিগ্রী,

  4. 15 ডিগ্রী থেকে 35 ডিগ্রি,

  5. 35 ডিগ্রী থেকে 55 ডিগ্রী, এবং

  6. 55 ডিগ্রির বেশি।

উল্লেখ্য ঢালের তীক্ষ্ণতা পরিমাপ করা হতে পারে তিন ভাবে, ডিগ্রিতে, শতকরা এবং গ্রেডিয়েন্ট অনুপাতে।

ভূমির প্রকৃতি অনুযায়ী অর্থাৎ যদি তুমি খুব বেশি ব্যবহৃত থাকে তবে 1:10,000 স্কেল ব্যবহার করা হয়। তবে ভূমি যদি মোটামুটি সমান হয় তবে 1:70,000 এর নিচে স্কেল ব্যবহার করা যেতে পারে। 

একই প্রকৃতির কিন্তু পৃথক বৈশিষ্ট্য যুক্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘনত্বের রেখা ব্যবহার করা যেতে পারে। 

যে সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় মানচিত্রে স্কেল অনুযায়ী ন্যূনতম আয়তনের থেকেও ছোট হয় সেগুলো কে দেখানোর জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন রূপের জন্য (different surface forms) পৃথক সনাক্তকরণ চিহ্ন ব্যবহার করা প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, একটি শৈলশিরা কে যা দিয়ে চিহ্নিত করা হবে একটি ক্ষয়প্রাপ্ত অবনত অংশও বা কোন পুঞ্জিত চলনের বর্ধিত যিহোবা কে অন্য চিহ্ন দিয়ে বোঝাতে হবে। 


প্রতিক চিহ্নের ছবি


  1. Mapping of surface material. (How are the surface materials mapped in a geomorphological map?)

 ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন ভূমিরূপ গুলি ভিন্ন ভিন্ন পদার্থ দিয়ে তৈরি হয় যেগুলি প্রকৃতি ও গঠনগতভাবে আলাদা হয়। তাই এই সমস্ত পদার্থ গুলি কেউ পৃথক পৃথক ভাবে চিহ্ন সহযোগে মানচিত্রে উপস্থাপন করা জরুরি যাতে করে ভূমিরূপ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ক্ষয় প্রতিরোধী বা সহজে ক্ষয় পাওয়া উপাদানের যে পৃথক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় সেটা অনুধাবন করা যায়। 

ভূতাত্ত্বিক উপাদানসমূহ কে মানচিত্র করনের উদ্দেশ্যে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এগুলি হল,

  1. Solid rocks,  অর্থাৎ গণ্ড শিলা যা ভূত্বকের অংশ হিসাবে ভূ-পৃষ্ঠে প্রকাশিত থাকে, and

  2. Superficial rocks যা প্রতি প্রকৃতপক্ষে শিলা চূর্ণ হিসাবে ভূপৃষ্ঠের উপরে আলগাভাবে অবস্থান করে। 

 এটি আবার,

i.  গ্রস্ত শিলা চূর্ণ হতে পারে, বা

ii. কোন পরিবহন মাধ্যম যেমন নদী হিমবাহ বায়ু প্রবাহ সমুদ্র তরঙ্গ ইত্যাদি দ্বারা পরিবাহিত ও স্থানান্তরিত হয়ে অন্য কোথাও সঞ্চিত হওয়া উপাদান হতে পারে। 

তাই জিওমর্ফলজিক্যাল মানচিত্রে পৃথক বৈশিষ্ট্যযুক্ত ভূমি শিলা এবং শিলাকে পৃথকভাবে মানচিত্রকরণ করা জরুরি। শুধু তাই নয় শিলা সমূহ কিভাবে সজ্জিত যাকে শিলার গঠন বলা হয় সেটা কেউ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা জরুরি কারণ এই শিলাস্তরের গঠন এর উপরে ভূমিরূপ এর প্রকৃতি নির্ভর করে। 

ভূপৃষ্ঠের উপরে শিলা চূর্ণ বিভিন্ন কারণে জমা হয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন,

  1. Compaction, বা সুসংহত গঠন

  2. Composition, বা গাঠনিক উপাদান,

  3. Porosity, বা সচ্ছিদ্রতা

  4. Permeability, বা প্রবেশ্যতা

  5. Depth of the weather mantle, বা শিলা চুর্নের গভীরতা।

শিলা চুর্নের মতোই মাটির ও একই ধরনের আচরণগত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। তাই শিলা চুর্নের বৈশিষ্ট্যগুলোকে যেমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, মৃত্তিকাকে ও তেমন ভাবে উপস্থাপন করা দরকার। এক্ষেত্রে শিলা চুর্নের মত মৃত্তিকার ও কম্প্রেসিভ স্ট্রেঙ্থ পরিমাপ করে তাকেও মানচিত্রে উপস্থাপন করা জরুরি। তাছাড়া মাটির জল ধারণ ক্ষমতা এবং শিলা চুর্নের সঙ্গে এর সম্পর্ক ও বিবেচ্য। 

কারণ, কৃষি পরিকল্পনার প্রয়োজনে তৈরি জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপ নিশ্চয়ই,

  1. মাটির গ্রথন,

  2. মাটির গঠন,

  3. মাটির জৈব পদার্থের পরিমাণ,

  4. মাটির গভীরতা

ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য কেউ মানচিত্রে উপস্থাপন করবে। 


প্রতীক চিহ্নের ছবি


  1. Mapping of processes. (How are the geomorphological processes mapped in the geomorphological map?)

ভূপৃষ্ঠের প্রতিটি জায়গাতেই কোন না কোন ভূমিরূপ সৃষ্টিকারী প্রক্রিয়া সর্বদা কাজ করে চলেছে। তাই ভূপৃষ্ঠের ভূমিরূপগত মানচিত্র প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভূমিরূপ সৃষ্টিকারী প্রক্রিয়াগুলোর যথাযথ উপস্থাপন জরুরী। কারণ প্রতিটি প্রক্রিয়া কার্যগত দিক দিয়ে পৃথক একে অপরের থেকে। যেমন উপকূলীয় অঞ্চলে যেসমস্ত ভূমিরূপ প্রক্রিয়া গুলি চলে সেগুলি হিমবাহ বা উপ হিমবাহ অঞ্চলের প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। আবার এরা নদী প্রক্রিয়ার সঙ্গে কার্যগত দিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এরা ভূপৃষ্ঠের উপরে পৃথক পৃথক ভূমিরূপ গোষ্ঠী তৈরি করে এবং ভূপৃষ্ঠের ও ভূত্বকের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জড়িত। 

তাই ভূপৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত যে কোন পুরনো ভূমিরূপ কে তার সেই পুরনো ভূমিরূপ সৃষ্টি কারি প্রক্রিয়া সহ মানচিত্রে চিহ্নিত করা জরুরী। যদিও এক্ষেত্রে সেই স্থানে বর্তমান ভূমিরূপ সৃষ্টিকারী প্রক্রিয়াকে ও উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, কোন একটি ভূমিরূপ যেমন গ্রবরেখার স্তুপ যেটি হিমবাহের কার্যের দ্বারা তৈরি হয়েছে কিন্তু, বর্তমানে সেখানে নদীর কার্য প্রাধান্য লাভ করেছে ও নদী দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছে কিছুটা। এক্ষেত্রে ওই গ্রাবরেখা টিকে যখন মানচিত্রে উপস্থাপন করা হবে সেখানে প্রাচীন ও বর্তমান উভয় ভূমিরূপ প্রক্রিয়া কে উল্লেখ করতে হবে। 

যেহেতু ভূপৃষ্ঠে মানুষের ক্রিয়াকর্মের প্রভাব যথেষ্ট পরিমাণে পড়েছে এবং ভূ-পৃষ্ঠের ভূমিরূপ তথা ভূতাত্ত্বিক গঠন এর উপরে ও মৃত্তিকার ওপরে মানুষের ক্রিয়াকর্মের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে তাই জিওমর্ফলজিক্যাল মানচিত্রে মানুষের ক্রিয়াকর্ম গুলোকেও যথাযথভাবে উপস্থাপন করাটা জরুরী। যেমন ভূপৃষ্ঠের যেকোনো ধরনের নির্মাণ কাজ, সেটা খনিজ উত্তোলন, রাস্তা নির্মাণ, জলাধার, বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি হতে পারে। পৃথক চিহ্নের মাধ্যমে এগুলিকে উপস্থাপন করতে হবে।

প্রতীক চিহ্নের ছবি


Types of geomorphological map


Verstappen (1970) জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপের চারটি ভাগের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলি হল,

  1. Morphographic maps, এই ম্যাপ প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপকে তাদের সুনির্দিষ্ট নাম অনুযায়ী উপস্থাপন করে।

  2. Morphogenetic maps, এই ম্যাপ সাধারণত ভূমিরূপ এর উৎপত্তি ও বিবর্তন বর্ণনা ও উপস্থাপন করে।

  3. Morphometric maps, এই ম্যাপ ভূমিরূপের বিভিন্ন মাত্রা এবং ভূমিরূপমিতি সংক্রান্ত তথ্য সমূহ স্থাপন করে। 

  4. Morpho chronological maps, এ ধরনের ম্যাপ ভূমিরূপের উৎপত্তির সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত উৎপত্তির ইতিহাসকে বর্ণনা করে তাদের উৎপত্তির কারণ গুলি উল্লেখ করে। সাধারণত বয়স কোন সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে লেখা থাকে।

Colours used in geomorphological maps


I.T.C. জিওমর্ফলজিক্যাল মানচিত্রে ভূমিরূপ সহ অন্যান্য বিষয় কে দেখানোর জন্য 12 রকমের রং ব্যবহারের কথা বলেছেন। 

Table


How to prepare a geomorphological map. (What are the steps to be followed for the preparation of a geomorphological map?)

যেহেতু জিওমর্ফলজিক্যাল ম্যাপ সামগ্রিকভাবে একটি ক্ষেত্র সমীক্ষা  কৌশল (field techniques) যেখানে ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র (topographical map) কে ভর করে বাস্তব ক্ষেত্র সমীক্ষা ও নানা পরিমাপ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন ভূমিরূপ সংক্রান্ত তথ্যকে মানচিত্রে সংযোজিত করা হয়। এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ধাপ গুলি অনুসরণ যোগ্য,

প্রথম ধাপ: সবার প্রথমে যেটা করতে হয়, যে স্থানের জিওমর্ফলজিক্যাল মানচিত্র প্রস্তুত করা হবে সেই স্থান সম্পর্কে তার ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ভূমিরূপ গত পটভূমি ভূমিরূপ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ইতিহাস ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে প্রকাশিত মানচিত্র ও বিভিন্ন নথিপত্র থেকে।

দ্বিতীয় ধাপ: বাস্তব সমস্যা কে চিহ্নিত করা যে কারণে মানচিত্র প্রস্তুত করার কথা ভাবা হয়েছে এবং মানচিত্র তৈরির উদ্দেশ্য স্থির করা। 

তৃতীয় ধাপ: ওই অঞ্চলের 1:50,000 স্কেলের বা তার থেকে বড় স্কেলের ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র সংগ্রহ করা। একই সঙ্গে ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র থেকে সুনির্দিষ্ট এলাকার একটি ভিত্তি মানচিত্র প্রস্তুত করা। 

চতুর্থ ধাপঃ চতুর্থ ধাপটি গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যায়ে একাধিক কাজ করতে হয়। কাজগুলি নিম্নরূপ,

  1. ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র টি কে নিবিড় ভাবে পাঠ করে ওই অঞ্চলের ভূমির বৈচিত্র অনুধাবন করা,

  2. বিভিন্ন ভূমিরূপ সমূহকে চিহ্নিত করা ও ভিত্তি মানচিত্রে সেগুলিকে দেখানো,

  3. ভূ প্রাকৃতিক বিভাগ কিভাবে করা হবে সেটা স্থির করা এবং প্রধান নদী অক্ষ সমূহকে চিহ্নিত করা,

  4. ভূমিরূপ সৃষ্টি কারি প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিভিন্ন ভূমিরূপ সমূহকে চিহ্নিত করা ও তাদের মধ্যে পৃথকীকরণ করা,

  5. সর্বোপরি ভূমিরূপ সমূহকে মানচিত্রে পৃথক পৃথক প্রতীক চিহ্ন দিয়ে দেখানো।

পঞ্চম ধাপঃ এই ধাপেও একাধিক কাজ করতে হয়। কাজ গুলি হল,

  1. ভূমির ঢাল পরিমাপ করে Wentworth এর পদ্ধতি অনুযায়ী ঢালের মানচিত্র তৈরি করা বা গ্রেডিয়েন্ট পরিমাপ করে তার মানচিত্র প্রস্তুত করা,

  2. সঠিক প্রতীক চিহ্ন দ্বারা ঢালের অভিমুখ এবং ঢালের বিচ্যুতি গুলিকে চিহ্নিত করে প্রকাশ করা।

  3. উপরোক্ত ইনফরমেশন দুটিকে ভিত্তি মানচিত্রে উক্ত এলাকার পটভূমি হিসেবে হাল্কা রং এ উপস্থাপন করা।

ষষ্ঠ ধাপ: কোন প্রকার জিওমর্ফলজিক্যাল মানচিত্র প্রস্তুত করা হবে সেটা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট প্রয়োগ কৌশল অনুসরণ করতে হবে। 

যেমন, Morphometric মানচিত্র প্রস্তুত করার দরকার হলে ভূমিরূপ প্রয়োগ কৌশল ব্যবহার করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলিকে বের করা হয়।

Morphogenetic বা morpho chronological মানচিত্র প্রস্তুত করার দরকার হলে প্রথমে ভূমিরূপ এর উৎপত্তির ইতিহাস জানতে হবে ওই এলাকার ভূমিরূপ গত ইতিহাস থেকে, পরে সুনির্দিষ্ট বয়স নির্ণয় পদ্ধতি তে ভূমিরূপের বয়স নির্ণয় করতে হয়। এই সব তথ্য সমূহ একত্রে মানচিত্রের মধ্যে সুনির্দিষ্ট স্থানে উপস্থাপন করা হয়।

Morphographic মানচিত্র আঁকতে হলে ভূমিরূপের সুনির্দিষ্ট নাম দিতে হবে।

সপ্তম ধাপ: যে এলাকার মানচিত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে সেখানে ফিল্ড ভেরিফিকেশন করে সঠিক তথ্যটিকে যাচাই করে নিতে হয়। 

এরপর ভূপৃষ্ঠের উপরের ভূত্তত্তিক উপাদান এবং ঢাল এর বিভিন্ন অংশে অর্থাৎ, নদী উপত্যকায়, ঢালের বিচ্যুতি অংশে, পাহাড়ের পাদদেশে, সমতল পাহাড়ের শীর্ষে সঞ্চিত অসংগঠিত উপাদানগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। 

সর্বোপরি মূলভূমি মানচিত্রের উপর এই সমস্ত ভূতাত্ত্বিক তথ্যগুলিকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়।

অষ্টম ধাপ: এই পর্যায়ে ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র থেকে নদী, ভৌম্জল বা পৃষ্ঠ প্রবাহ জনিত কারণে সৃষ্ট ছোট ছোট ভূমিরূপ সমূহকে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট প্রতিকারমূলক ভিত্তি মানচিত্রের উপরে উপস্থাপন করা। প্রয়োজনে কিছু জ্যামিতিক চিত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। 

মাটির নিচের ভৌম জলের গভীরতা ভূমি ভাগের বিভিন্ন অংশে অর্থাৎ উপত্যকায়, শৈলশিরার অংশে, সমভূমিতে এবং মালভূমিতে কত সেটা উল্লেখ করতে হয়। 

নবম ধাপঃ মনুষ্য সৃষ্ট বিভিন্ন বিষয়গুলিকে তাদের ভূ-প্রাকৃতিক গুরুত্ব অনুযায়ী উপস্থাপন করতে হয়।

দশম ধাপঃ সবশেষে ভূপৃষ্ঠের উপরে মৃত্তিকার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে যেমন, মাটির গ্রথন গঠন প্রবেশ্যতা সচেতনতা ইত্যাদি, পাঠকরে তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উপস্থাপন করা সুনির্দিষ্ট ও বিশেষ অক্ষর বা প্রতীক চিহ্ন দ্বারা।


How to interpret an area morphological map? 


No comments:

Post a Comment