Sunday, May 14, 2023

Use of GIS in Cartography & Digital Cartography (cartography তে ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থার ব্যবহারকা)

 



Cartography বা মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা হলো এমন একটি বিজ্ঞান ও কলার সমন্বিত বিষয় যা মানচিত্র অঙ্কন সংক্রান্ত যাবতীয় পদ্ধতি ও বিষয়গত আলোচনা করে থাকে। The study of art and science of map making is called cartography. 

অর্থাৎ মানচিত্র অভিক্ষেপ, পৃথিবীর আকৃতি সংক্রান্ত ধারণা, ডেটাম, জরীপ কার্য, ইত্যাদি বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয় এবং বিভিন্ন প্রকার রঙের ও চিহ্নের সচেতন ও সর্বসম্মত ব্যবহার, বিভিন্ন স্টাইলের ও আকার আয়তনের অক্ষরমালার ব্যবহার ইত্যাদি কলা ভিত্তিক বিষয়- সবকিছুই কার্টোগ্রাফি বা মানচিত্রাঙ্কন বিদ্যাতে আলোচিত হয়।

মানচিত্র অঙ্কনের ইতিহাস অনেক প্রাচীন তাই আমরা বলতে পারি মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা বা Cartography এর ইতিহাস ও অনেক পুরনো। সেই প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতা থেকে আমরা মানচিত্র অঙ্কনের নিদর্শন পেয়ে থাকে। মেসোপটেমিয়া সভ্যতা তেও আমরা জরীপ কার্য ও মানচিত্র অঙ্কনের নিদর্শন পাই। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা এসেছে নানা পরিবর্তন। 

যদি তোমরা মানচিত্র নিয়ে বেশি জানতে চাও তবে মানচিত্রের শ্রেণীবিভাগ এর পোস্ট টি দেখে নাও। এই Chapter এ আছে।


Types of cartography


প্রযুক্তি বিদ্যার উপর ভিত্তি করে মানচিত্র অংকন বিদ্যাকে বর্তমানে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। 

  1. Convensional Analogue / Manual cartography: কম্পিউটার প্রযুক্তি আসার আগে মানচিত্র অঙ্কন করা হতো সম্পূর্ণভাবে হাতে। সেখানে মানচিত্র অভিক্ষেপ ও জরীপ কার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতীক চিহ্ন ও রং এর সচেতন ব্যবহার সবকিছুই করা হতো সুদক্ষ কলাকুশলীর হাতে। 

পরবর্তীতে ছাপাখানার আবিষ্কার মানচিত্র অঙ্কনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি নিয়ে আসে। একবার আঁকা মানচিত্র থেকে ছাপাখানায় অসংখ্য কপি তৈরি করা সম্ভব হয় ফলে মানচিত্রের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় সেই থেকে। 

ভূগোল, মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা বা ইঞ্জিনিয়ারিং এ যে সমস্ত জরীপ কার্য বা মানচিত্র অভিক্ষেপ শেখানো হয়, বা বিভিন্ন ধরনের চিহ্ন রং এর মাধ্যমে হাতে যে সমস্ত মানচিত্র অঙ্কন করা হয় সবই কিন্তু analog cartography এর অন্তর্গত। 

তথাপি এই সব মানচিত্র কে আমরা স্থির মানচিত্র বলতে পারি কারণ, জরিপ কার্যের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য কে নির্দিষ্ট অভিক্ষেপ অনুসরণ করে কাগজের উপরে বা কোন দ্বিমাত্রিক তলে উপস্থাপন করা হয় বিভিন্ন প্রকার প্রতীক চিহ্ন ও রং এর ব্যবহারের মাধ্যমে। এবং সেটা পরবর্তীতে বহুদিন যাবৎ ব্যবহৃত হয়। এইসব মানচিত্র যে সময় জরীপ কার্য করা হয়েছিল সেই সময়কার তথ্যই বহন করে। মানচিত্রটি যখন প্রকাশ করা হয় তা জরীপ কার্য হওয়ার সময় থেকে অনেকটা পরে, তাই প্রকাশিত মানচিত্র ইতিমধ্যেই পুরনো তথ্য যুক্ত মানচিত্র হয়ে দাঁড়ায়। 


  1. Digital cartography: কম্পিউটার প্রযুক্তির আবিষ্কার মানচিত্র অঙ্কনবিদ্যাতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আগে যে সমস্ত কাজ গুলো হাতে করা হতো সেগুলোই এখন কম্পিউটারের সাহায্যে অতি দ্রুত করা সম্ভব হয়। ফলে অনেক কম সময়ে মানচিত্র অঙ্কনের কাজকর্ম সারা যায়। একবার মানচিত্র প্রস্তুত করার পর তা যত খুশি ততবার তৈরি করা সম্ভব হয় এবং প্রয়োজনমতো খুব সহজেই নতুন তথ্যের সংযোজন বা ভুল তথ্যের বিয়োজন ঘটিয়ে পুনরায় নতুন ভাবে মানচিত্র প্রস্তুত করা যায়। ফলে একই কাজ বারবার করা থেকে রেহাই পাওয়া গেছে।

তাছাড়া কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে মানচিত্র স্থির অবস্থা থেকে গতিশীল মানচিত্রে পরিণত হয়েছে। ফলে মানচিত্র অঙ্কনে এসেছে অনেক দ্রুততা, সুক্ষতা ও বাস্তবতা। প্রতি মুহুর্তে নতুন তথ্য কে খুব সহজেই মানচিত্রে সংযোজন করা যায় যার ফলে একদম বাস্তব সময়ের তথ্যসমৃদ্ধ মানচিত্র তৈরি করা বর্তমান সম্ভব হচ্ছে। যেটা পুরোনো হাতে তৈরি পদ্ধতিতে ছিলনা।

কম্পিউটারের সাহায্যে বর্তমানে কম্পিউটার পর্দায় মানচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে যা মানচিত্রের ব্যবহার কে একপ্রকার সার্বজনীন করেছে। তাছাড়া মানচিত্র অনেক বেশি প্রতিক্রিয়াশীল (Interactive) হয়েছে। 

কম্পিউটারের পাশাপাশি ইন্টারনেট বর্তমানে জন্ম দিয়েছে ওয়েব ম্যাপ যা বাস্তব সময় কার এবং পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে বসে কম্পিউটারের সাহায্যে যেকোনো প্রান্তের মানচিত্রের তাৎক্ষণিক প্রদর্শন ও ব্যবহার করা সম্ভব হয়। 


ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা নিয়ে যাদের হাতে খড়ি হয়েছে তারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছ যে কম্পিউটারের মাধ্যমে মানচিত্র অঙ্কনের যে সমস্ত কাজকর্ম করা হয় এবং বিভিন্ন প্রকার প্রতীক চিহ্ন ও রং এর ব্যবহার করে কম্পিউটারের পর্দায় মানচিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয় সেগুলি কিন্তু digital cartography এর অন্তর্গত।


Cartography and GIS


তবে মানচিত্র অংকন বিদায় বিপ্লব এনে দিয়েছে ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থা যাকে ইংরেজিতে Geographic Information System সংক্ষেপে (GIS) বলে।

ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থা হল এমন একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা যেখানে ভূপৃষ্ঠ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের অবস্থানগত তথ্য ও তাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত তথ্য একটি তথ্য ব্যবস্থার মধ্যে (DBMS or RDBMS) এমন ভাবে রাখা হয় যাতে করে যেকোনো সময়ে যেকোনো তথ্য কে প্রয়োজনমতো বের করে নেয়া যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন তথ্য সংযোজন করা যায় এবং সর্বোপরি মানচিত্র অংকন বিদ্যার সঙ্গে GIS এর সংযুক্তির ফলে বিভিন্ন ভাবে এবং বিভিন্ন স্কেলে তৎক্ষণাৎ মানচিত্র প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। তাই মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা ও ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থার হাত ধরে মানচিত্র প্রস্তুত করণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও কয়েকটি নতুন প্রযুক্তি যা এই ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা ও মানচিত্রাঙ্কন বিদ্যা নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। এগুলি হল, Remote Sensing বা দূর সংবেদন, GPS  or Global positioning System, Photogrammetry, Geodesy


What is GIS?


এবার আমরা একটু সংক্ষেপে ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে নেই। কারণ ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকলে মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা ও ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থার সম্পর্ক ঠিক বোঝা যাবে না।

আগেই আমরা ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা সংজ্ঞাটি দিয়েছি। এবার আমরা বলছি ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থায় যে ভৌগোলিক তথ্য এর ব্যবস্থাপনা করা হয় সেই ভৌগোলিক তথ্য দুধরণের হয়: 

  1. দৈশিক তথ্য

  2. বৈশিষ্ট্যগত তথ্য। 

ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থায় দৈশিক তথ্য কে দুটি পদ্ধতিতে কম্পিউটারে স্টোর করা হয়। 


একটা পদ্ধতিকে বলে Raster data format যেটি প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন পিক্সএল নির্ভর তথ্য ব্যবস্থা,

দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো vector data format জেটি প্রকৃতপক্ষে স্থানাংক ব্যবস্থা দ্বারা (X, Y) তথ্য সঞ্চয় এর একটি প্রক্রিয়া যেখানে point, line and Polygon দিয়ে দৈশিক ভৌগলিক তথ্য কে স্টোর করা হয়। 


ভৌগলিক বিষয়ের প্রকৃতি অনুযায়ী উপরোক্ত তিন প্রকার চিহ্ন পৃথকভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন যে সমস্ত ভৌগোলিক বিষয়ের শুধুমাত্র বিন্দু অবস্থান থাকে, যেমন কোন একটি নলকূপের অবস্থান, বা কোন সরকারি অফিসের অবস্থান, সেগুলিকে বিন্দু চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়। আবার রাস্তা, নদী এগুলোকে রেখা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে ক্ষেত্রফল যুক্ত বিষয় যেমন, জলাশয়, অরণ্য, যে কোন প্রকার জমি, সে গুলোকে বহুভুজ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। 

বৈশিষ্ট্যগত তথ্য যাকে ইংরেজিতে Attribute data বলে, সেটা ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থায় সারণির মধ্যে (table) থাকে এবং নির্দিষ্ট দৈশিক তথ্যের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত করা থাকে। 

দূর সংবেদন বা Remote Sensing পদ্ধতির আবিষ্কার ভূপৃষ্ঠে জরীপ কার্য তথা ভৌগোলিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিতেও এনেছিল আমূল পরিবর্তন যা মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা নতুন মাত্রা যোগ করে। দূর সংবেদন পদ্ধতিতে সংগৃহীত ভৌগোলিক তথ্য কে কম্পিউটার এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে সরাসরি ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা যায় বা কম্পিউটার নির্ভর মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যা থেকে নতুন মানচিত্র প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। 

দূর সংবেদন ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা ও মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যায় সবথেকে বড় যে পরিবর্তনটি এনেছে সেটি হল সময়সাপেক্ষ ও শ্রম সাপেক্ষ ভূমি জরিপ করে ভৌগোলিক তথ্য সংগ্রহ করার পরিবর্তে দূর থেকে ভূপৃষ্ঠ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতি এবং এই পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়ের সম্পর্কে বারংবার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় বিভিন্ন সময়ে এবং আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী।


Common goals of GIS and Cartography


প্রকৃতপক্ষে মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা এবং ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থার মধ্যে উদ্দেশ্যগত মিল রয়েছে। কারণ উভয় ব্যবস্থায় মানচিত্র প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করে। "Cartography and GIS are linked by virtue of their common focus on maps"

এখানে বলা যেতে পারে, মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা এবং ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা একে অপরের পরিপূরক হয়ে মানচিত্র অংকন এ নতুন মাত্রা যোগ করেছে। 

ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থা মানচিত্র অংকন বিদ্যার কলা কৌশল আয়ত্ব করেছে, এবং সুনিপুণ মানচিত্র প্রস্তুত করতে সক্ষম হচ্ছে, 

অন্যদিকে মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থার সহায়তায় মানচিত্র অঙ্কনের পদ্ধতিগত বিষয়গত ক্ষেত্রে আমূল ও বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। হলে মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা সংজ্ঞাগত পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই জন্ম নিয়েছে digital cartography এর। 


Aspects of Cartography influenced by GIS


মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা এবং ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা একসঙ্গে মিলে ভৌগলিক তথ্যকে মানচিত্রে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন পরিসংখ্যান বিদ্যার পদ্ধতি এবং গাণিতিক সূত্রাবলী ব্যবহার এর সুযোগ তৈরি হচ্ছে তার ফলে ভূপৃষ্ঠ সম্পর্কিত তথ্যের উপস্থাপন ও নানা ধরনের ঘটনাবলী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক বেশি দক্ষতা ও দ্রুততা এসেছে। 

The integration of GIS with cartography has opened up a new avenue of scientific visualisation of spatial informationz spatial decision support systems, hypermedia information systems, and virtual reality environment. 

Development of spatial statistics based on sophisticated algorithms make it possible now for special decision support system on a real time basis

অর্থাৎ উন্নত মানের দৈশিক পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি সহ উন্নত গাণিতিক সূত্রাবলী ভূপৃষ্ঠের ঘটনাবলী সম্পরকিত বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ কে সহজ করে তুলেছে। 

ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থার সঙ্গে মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা সংযুক্তির ফলে ভৌগলিক তথ্য কে দৃশ্যায়িত করনের বা মানচিত্রকরনের নানা পদ্ধতি গত পরিবর্তন এসেছে। যেমন,

  • Digital mapping
  • Convenient analog to digital conversation,
  • Perspective view of landscape, 
  • Animation map,
  • Map simulation or fly-through,
  • Portability of map, can be carried in a variety of devices in hand,
  • Dynamic map scalable at wide range of scales,
  • Interactive map responding to our quarries. 
  • Realtime map,
  • 3 dimensional visualisation,
  • Speed of map making,
  • Use of complex spatial techniques,
  • Use of wide variety of computer graphics for better lettering, colour coding, symbolising for good map production. 


One way communication to two way communication


প্রথাগত মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা (cnvensional cartography or analog cartography) যে সমস্ত মানচিত্র তৈরি করত সেখানে প্রদর্শিত তথ্যের ওপর মানচিত্র ব্যবহারকারীর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকত না। কারণ সেটা কাগজের উপরে প্রকাশিত ম্যাপ। সেখানে মানচিত্র তৈরীর সময় যত ধরনের তথ্যকে সেখানে উপস্থাপন করা হয়েছিল সবগুলি একসঙ্গে সে মানচিত্রে সবসময়ই বর্তমান থাকে। তাই সেই মানচিত্র কে বলা যায় one-way communication. কারণ মানচিত্র ব্যবহারকারী কোন মানচিত্র থেকে বিশেষ কয়েকটি তথ্য জানতে আগ্রহী হলেও তাকে পুরো মানচিত্রের সমস্ত তথ্য কে নিয়েই কাজ করতে হতো। 

কিন্তু কম্পিউটার প্রযুক্তি ও ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা যে নতুন ডিজিটাল কার্টোগ্রাফি র জন্ম দিয়েছে সেখানে যেকোনো বিভিন্ন ভৌগোলিক তথ্য কে একাধিক স্তরে তৈরি করা হয় এবং মানচিত্র ব্যবহারকারী তার সুবিধামতো যে কটা তথ্যকে সে দেখতে চাইছে সেই কটা তথ্য কেই সে মানচিত্রে উপস্থাপন বা প্রদর্শন করতে পারে ও দেখতে পারে। তাই নতুন এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি মানচিত্রকে বলা যায় টু ওয়ে কমিউনিকেশন। 


GIS and thematic mapping

থিমেটিক ম্যাপ (Thematic Map) বা বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র একটি বিশেষ উদ্দেশ্য সাধক মানচিত্র যেটি সাধারণ এটলাস ম্যাপ বা দেওয়াল মানচিত্র থেকে আলাদা। এই বিশেষ উদ্দেশ্য সাধক বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র প্রধানত একটি প্রাকৃতিক বা মানবীয় বিষয়কে বিভিন্ন প্রতীক চিহ্ন বা রং অথবা চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় এবং উদ্দেশ্য থাকে বিষয়টির দৈশিক বন্টনের গঠনকে প্রকাশ করা (structure of distributions) বা কখনো কখনো দুই বা ততোধিক বিষয়কেও একটি মানচিত্রে দেখানো হয়। এক্ষেত্রে মোটামুটি কাছাকাছি সম্পর্কযুক্ত ও সমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহকে একটি মানচিত্রে প্রকাশ করা হয় তাদের মধ্যে দৈশিক্ সম্পর্ক দেখার ক্ষেত্রে।

বিষয়ভত্তিক মানচিত্রের নীতি এবং বৈশিষ্ট্য:

বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র অংকনের প্রধান নীতি হলো,

  1. ভিত্তি মানচিত্র যেখানে শুধুমাত্র আউটলাইন করা থাকবে এলাকাগুলো, এবং

  2. নির্দিষ্ট বিষয়কে রং প্রতীক চিহ্ন বা চিত্রের মাধ্যমে উক্ত ভিত্তি মানচিত্রের উপর প্রতিস্থাপন করা। এক্ষেত্রে জ্যামিতিক চিহ্ন যেমন, বিন্দু, রেখা, ক্ষেত্র, আয়তন ইত্যাদি এবং শব্দ চিহ্ন বা  চিত্রের ব্যবহার হয়।


ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থা হল এমন একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা যেখানে ভূপৃষ্ঠ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের অবস্থানগত তথ্য (Spatial data) ও তাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত তথ্য (Attribute data) একটি তথ্য ব্যবস্থার মধ্যে (DBMS or RDBMS) এমন ভাবে রাখা হয় যাতে করে যেকোনো সময়ে যেকোনো তথ্য কে প্রয়োজনমতো বের করে নেয়া যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন তথ্য সংযোজন করা যায় এবং সর্বোপরি মানচিত্র অংকন বিদ্যার সঙ্গে GIS এর সংযুক্তির ফলে বিভিন্ন ভাবে এবং বিভিন্ন স্কেলে তৎক্ষণাৎ মানচিত্র প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। তাই মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা ও ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থার হাত ধরে মানচিত্র প্রস্তুত করণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। 


মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা এবং ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা একে অপরের পরিপূরক হয়ে মানচিত্র অংকন এ বিশেষত বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র প্রস্তুত করতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেCartography and GIS are linked by virtue of their common focus on maps

ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থা মানচিত্র অংকন বিদ্যার কলা কৌশল আয়ত্ব করেছে, এবং সুনিপুণ মানচিত্র প্রস্তুত করতে সক্ষম হচ্ছে, অন্যদিকে মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থার সহায়তায় মানচিত্র অঙ্কনের পদ্ধতিগত বিষয়গত ক্ষেত্রে আমূল ও বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। ফলে নতুনভাবে জন্ম নেওয়া digital cartography এর বেশি সহজ, সুন্দর ও নিখুঁত করা সম্ভব হয়েছে। 

মানচিত্র অংকন বিদ্যার সঙ্গে GIS এর সংযুক্তির ফলে বিভিন্ন ভাবে এবং বিভিন্ন স্কেলে তৎক্ষণাৎ মানচিত্র প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। তাই মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা ও ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থার হাত ধরে মানচিত্র প্রস্তুতকরণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। 


নিচে বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থার সুবিধা উল্লেখ করা হলো:

  1. খুব অল্প সময়ে অনেক তথ্য কে দ্রুত উপস্থাপন করা সহজ হয়েছে,

  2. বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র অঙ্কনের জটিলতা দূর হয়েছে,

  3. রং এর ব্যবহারে অনেক বেশি স্বাধীনতা এসেছে কারণ একই রঙের অনেক শেড ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে ফলে বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বাড়ছে,

  4. বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র অঙ্কনের ক্ষেত্রে যে শ্রেণীবিভাগ করা হয় সেই শ্রেণীবিভাগ এর ক্ষেত্রে গাণিতিক বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার সম্ভব হয়েছে, ফলে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ দূরীভূত হয়েছে,

  5. আধুনিক দৈশিক পরিসংখ্যান বিদ্যার ব্যবহার (spatial statistics) এখন বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র অঙ্কনের ক্ষেত্রে হচ্ছে যার ফলে বিজ্ঞাসম্মতভাবে শ্রেণীবিভাগ করা সম্ভব হচ্ছে। 

  6. মানচিত্রের নকশাতে অনেক নতুনত্ব আনা সম্ভব হয়েছে ফলে দেখার ক্ষেত্রে বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক হয়েছে,

  7. জটিল বিষয়ভিত্তক মানচিত্র প্রস্তুতির কাজ অনেক সহজ হয়েছে এবং বৈচিত্র্য বেড়েছে। 

No comments:

Post a Comment